বুধবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকার ফেলাইন্নার ছেলে সজিব (২৫), চাঁন মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু (২০), হারুনুর রশিদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জয় (২২), আবু তালেবের ছেলে শামীম (২৪), মনোয়ারা জুট মিল সিকিউরিটি কলোনির রফিক (৫০), তার ছেলে ইউসুফ (২০) এবং ফতুল্লার গাবতলী এলাকার মৃত মোহন মিয়ার ছেলে রুবেল ওরফে ইয়াসিন (২৪)।
এদের মধ্যে সজিব, রুবেল ওরফে ইয়াসিন ও জাহিদুল ইসলাম জয় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ বলেন, নারী নির্যাতন মামলার পলাতক আসামি স্থানীয় সজিবকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াবদা কলোনীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে বালু ব্যবসায়ী আরাফাত (২২)। এরপর সজীব আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে দলবল নিয়ে ২০১০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে খেলার কথা বলে আরাফাতকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর কুপিয়ে ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করে জঙ্গলে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় সজীব ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় আরাফাতের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ছেলের বিচার দাবি করে তিন বছর আগে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন বাদী আনোয়ার হোসেন।
মামলায় সম্পৃক্ততা না থাকায় শফিকুল ইসলাম শফি ও রাজু আহমেদ নামের দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।