রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার বাগমারা জামতলী বাজার এলাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান।
লালমাই থানার ওসি বদরুল আলম তালুকদার বলেন, নিহতরা সবাই আটোরিকশার আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জন একই পরিবারের সদস্য।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর গোয়ালপট্টি এলাকার বন্দন হোটেলের মালিক নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের ঘোড়া ময়দান গ্রামের জসিম উদ্দিন (৪৫), জসিমের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০), জসিমের মা সকিনা বেগম (৭০), জসিমের বড় ছেলে শিপন (২৩), মেজ ছেলে হৃদয় হোসেন (১৫), মেয়ে নিপু আক্তার (১৩), জসিমের হোটেল কর্মচারী সায়মুন (১৫) এবং অটোরিকশা চালক জামাল হোসেন (৩৫)।
জসিমের ছোট ছেলে রিফাতকে (৮) গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
“তখন সামনেই সিএনজিটা পড়েছে। সিএনজিটা রাইট প্লেসেই ছিল, (বাস) সেটাকে সজোরে ধাক্কা দিয়েছে। সিএনজির পেছনে আবার একটা মাইক্রোবাস ছিল। সিএনজিটা মাইক্রোবাস আর বাসের মাঝখানে পড়ে একেবারে টুইস্টেড হয়ে গেছে।”
লালমাই থানার ওসি বলেন, এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান পরিবারের কর্তা জসিম উদ্দিন। সেখান থেকেই তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায় স্বজনরা।
তিশা পরিবহনের বাসের চালক দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি।