শুক্রবার সকালে উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর পশ্চিমপাড়া থেকে রাসেল (২৫) নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে কসবা থানার এসআই ফারুক হোসেন জানান।
রাসেল ওই গ্রামের মিজান চৌধুরীর ছেলে।
রাসেলের পরিবারের বরাতে কাইমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুমন সরকার বলেন, রাসেল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকেবাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি।
সকালে স্থানীয়রা রাসেলের শ্বশুর বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি পুকুরে তার লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশকে গিয়ে তা উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, চার বছর আগে প্রতিবেশী ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে রাসেলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে।
“বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে রাসেলের বিরোধ ছিল। রাসেলের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাকে হত্যা করেছে।”
এসআই বলেন, রাসেলের শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে বৃহস্পতিবার এক সালিশ সভা হয়; কিন্তু সেখানে কোনো সুরাহা মেলেনি।এরপর রাসেল বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ারর পর সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, “মরদেহের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেলের স্ত্রী, তার বাবা ওয়াদুদ মিয়া, ভাই রুবেল ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী রহিমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এসআই।
লাশ ময়নাতন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।