মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পাঁচুড়িয়া গ্রাম থেকে আকরাম শেখকে (৬০) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় আকরাম শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
শিশুর মা অভিযোগ করেন, চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে এবং ১০ টাকা হাতে দিয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া তার মেয়েকে মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাগানে নিয়ে আকরাম শেখ ধর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন তিনি। কাজ শেষে দুপুরে বাড়ি গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ দেখেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন হাসপাতালে যান বলে মেয়েটির মা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। ওর বাবা ভ্যান চালান। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিপন কুমার ঘোষ বলেন, “শিশুটির লজ্জাস্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।”
লোহাগড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, আকরাম শেখ প্রায় পাঁচ বছর ধরে পাঁচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে চটপটি বিক্রি করে আসছে। এছাড়া ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ির পাশেই আকরামদের বাড়ি। সেই সূত্রে সে মেয়েটির দূর সম্পর্কের দাদা হয়।
“পরিচয়ের সূত্র ধরে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আকরাম শেখকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছি।”