ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কামুদা প্রসাদ সাহা জানান, সেলিম বিশ্বাস (৪০) নামে এই ব্যক্তিকে ভর্তি করার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
সেলিম জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার বাছারডাঙ্গী গ্রামের কদম বিশ্বাসের ছেলে।
সেলিমের স্ত্রী মুন্নি আক্তার বলেন, সেলিম বৃহস্পতিবার জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম দুই দিন দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেলেও জ্বর কমেনি। রোববার বিকেলে জ্বর নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। বিকেলে চরভদ্রাসন ডায়গনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করলে প্লাটিলেট এক লক্ষ বিশ হাজার দেখা যায়। তাকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে বিভিন্ন টেস্ট করানো হয়। সোমবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
সেলিম ঢাকার যাত্রাবাড়িতে মোটর গ্যারেজের ব্যবসা করতেন বলে তিনি জানান।
ফরিদপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে কামুদা প্রসাদ সাহা জানান, তাদের হাসপাতালে ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর সেলিমের ডেঙ্গু হয়েছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি।