পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজপাঠক আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে এসব এলাকার অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার পরিবারের ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।”
এদিকে যমুনার তীব্র স্রোতে ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়নের তিনটি সংযোগ সড়ক বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে জেলার ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. রায়েব আলী জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলায় ৯০ মেট্রিক টন চাল, নগদ দুই লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় কারণে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জামালপুর জেলা সিভিল সার্জন গৌতম রায় জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম কাজ করছে।