পেরুল উত্তর ইউনিয়নের মাতাইনকোট দক্ষিণপাড়ায় মাতাইনকোট-ভাটরা সড়কে শুক্রবার দুর্ঘটনায় নিহত হন মৃত দুলা মিয়ার ছেলে কৃষক ফরিদ মিয়া (৬০)।
সামাজিক বৈঠকে নিহতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কাউকে দিয়ে নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কৃষক ফরিদ মিয়া শুক্রবার সকাল থেকেই মাতাইনকোট-ভাটরা সড়ক সংলগ্ন ফসলি জমিতে কাজ করেন। জুমার নামাজের সময় হলে দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।
“হঠাৎ বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পিছন থেকে ফরিদ মিয়াকে চাপা দেন মাতাইনকোট গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল মমিনের ছেলে মো. ফরহাদ (১৬)।”
হোসেন বলেন, স্থানীয়রা গুরুতর আহত ফরিদ মিয়াকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বিকাল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক ফরিদ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদ মিয়ার স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ফরহাদও আহত হয়ে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। মামলা না করার জন্য ফরিদ মিয়ার পরিবারকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ঘটনার দিন রাত ৯টায় ওই জনপ্রতিনিধির সভাপতিত্বে এক সভায় নিহতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়; এবং সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিহতের পরিবারকে ওই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।