শনিবার বিকালে মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৫-১৬ পিলারে ‘৩-সি’ নম্বরের এই স্প্যানটি স্থাপন করা হয় বলে সেতু বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার এবং পরে শুক্রবার স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমে থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে ড্রেজিং করে ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি যথাস্থানে নোঙর করা সম্ভব হয়।
হুমায়ূন কবির বলেন, গত বৃহস্পতিবার স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওয়ানা দিয়ে ১৫ নম্বর খুঁটির অদূরে পদ্মা নদীতে নোঙর করে রাখা হয়।
“ওইদিন সকালে এটি রওনা হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রওনা দিতে হয় দুপুরে। পরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুদিন নোঙর অবস্থায় পদ্মায় অবস্থান করে স্প্যানবাহী জাহাজটি।”
এছাড়া ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমে থাকার কারণে ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে যথাস্থানে জাহাজটিকে নেওয়া সম্ভব হয় বলে জানান হুমায়ূন।
হুমায়ূন জানান, ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি খুঁটির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি খুঁটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯০টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩টি স্প্যান বসেছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।