বুধবার রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের উপস্থিতিতে মানিক মিয়ার লাশ তোলা হয়।
গত ৩১ মে নগরীর রাজা রামমোহন মার্কেটের সামনে আম বিক্রির সময় পিটুনির শিকার হন মানিক। দুইদিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তাকে মারপিট করার অভিযোগে ঘটনাস্থলে অবস্থিত সিসিলি হোটেলের মালিক আলতাফ হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মানিকের মৃত্যুর পর তার ভাই মাসুম মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাজা রামমোহন মাকের্টের সিসিলি হোটেলের সামনে রিকশা ভ্যানে করে আম বিক্রি করতেন মানিক।
মামলায় বলা হয়, গত ৩১ মে মানিক মিয়া সেখানে আম বিক্রি করছিলেন। মার্কেটের সামনে আম বিক্রির করার কারণে সিসিল হোটেলের মালিক আলতাফ হোসেন আম বিক্রেতা মানিক মিয়াকে মারপিট করেন। আশপাশের লোকজন এসে মানিক মিয়াকে উদ্ধার করে তার বাড়ি সদর উপজেলার পালিচড়ায় পাঠিয়ে দেয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরদিন মানিক মিয়ার রক্তবমি শুরু হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মানিক মিয়ার ভাই মাসুম মিয়া কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করার পর পুলিশ হোটেল মালিক আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর বিচারিক হাকিম আদালতে লাশের ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে পালিচড়া কবরস্থান থেকে বুধবার দুপুরে মানিক মিয়ার লাশ উত্তোলন করে রমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মানিক মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।