সোমবার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াকুব আলী ছৈয়াল (৫০) চান্দনী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে মিন্টু ছৈয়াল ও নড়িয়া থানা পুলিশ জানিয়য়েছে, ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ শিকদার ও বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল হক বেপারী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
দুই মাস আগে নুরুল হক বেপারীর সমর্থক ইয়াকুব ছৈয়াল ও আলী আহম্মদ শিকদারের সমর্থক আবু সিদ্দিক ঢালীর সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইয়াকুব আলী ছৈয়াল এলাকাতেই ইটবালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে নড়িয়া থানা পুলিশ একটি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করেছে বলে তিনি জানান।
নিহতের মা রুপবান বেগম বলেন, “সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় রাস্থায় রশি বেঁধে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও বোমা মেরে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে আলী আহম্মদ সিকদার বলেন, “স্থানীয় ঢালী ও ছৈয়াল বংশের বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”
নুরুল হক বেপারী বলেন, “আলী আহম্মদ সিকদারের ছেলেরা এবং আবু ছিদ্দিক ঢালী, আবু আলেম ঢালীর লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে কুপিয়ে ও বোমা মেরে তাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।”