পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দীন জুন্নুনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর বলেন, গত ৬ মে কলেজের ১০৬ নম্বর কক্ষে উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় তিনি পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
“এ সময় দুই পরীক্ষার্থী দেখাদেখি করায় তাদের সতর্ক করি। তারা বিরত না হলে কিছু সময়ের জন্য তাদের খাতা জব্দ করে রাখায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। ১২ মে কলেজ গেটে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দীন জুন্নুনের নির্দেশে বহিরাগতরা আমাকে কিল-ঘুসি ও লাথি মারে।”
পরে অন্য শিক্ষকরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ভয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দেননি বলে জানান।
মাসুদুর বলেন, “আমাকে মারধরের পর ঘটনা আড়াল করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন হয়রানির কথা বলা হচ্ছে।”
ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় ছাত্র ও বহিরাগতদের অত্যাচারে শিক্ষকরা অতিষ্ঠ বলে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। গত কয়েক বছরে অন্তত ১৫ জন শিক্ষককে তারা লাঞ্ছিত করেছে বলেও অভিযোগ মিলেছে।
কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, “শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা সমগ্র শিক্ষক সমাজের জন্য অপমানের। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ চাই। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস।
তবে ছাত্রলীগ নেতা শামসুদ্দিন জুন্নুন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষক মাসুদুরের ওপর হামলায় আমি বা ছাত্রলীগ জড়িত নয়। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা স্যারকে আক্রমণ করলে আমরা প্রতিরোধ করে সন্ত্রাসীদের বের করে দিয়েছি।”
এদিকে মারধরের এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে বলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক জানিয়েছেন।