স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে পা কেটে নেওয়ার মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় টেঁটাবিদ্ধ করে এক ব্যক্তির পা কেটে নেওয়ার মামলায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2019, 02:28 PM
Updated : 22 April 2019, 02:35 PM

শুক্রবার রূপসদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও রূপসদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে রোববার ১৫ জনের নামে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে আবুল বাশার ও তার লোকজন ওই গ্রামের কালা মিয়া এবং তার ছেলে বিপ্লব মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

পরে প্রকাশ্যে ওই দুজনকে টেঁটাবিদ্ধ করে এবং কালা মিয়ার (৪৫) ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে নেয় ও বিপ্লব মিয়ার (১৯) দুই পায়ের রগ কেটে দেয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া বলেন, “রূপসদীর আবুল বাশার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় তাকে সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দলের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।”

শনিবার রাতে দলের এক জরুরি সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আলাউদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল চিত্ত রঞ্জন পাল ও বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রোববার রূপসদী গ্রামের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কালা মিয়ার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়

আলমগীর হোসেন বলেন, “একজন জীবন্ত মানুষের পা কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই বর্বরোচিত। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

ঘটনার পর থেকে বাশার ও তার লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। পুলিশের একটি বিশেষ দল আসামিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।

কালা মিয়ার স্ত্রী মামলার বাদী সালমা বেগম বলেন, “আমার স্বামীর কোনো অপরাধ নাই। সন্ত্রাসী বাশার ও তার লোকজন মিলে আমার স্বামী ও ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে টেঁটাবিদ্ধ করে এবং আমার স্বামীর পা  কেটে নিয়ে গেছে। আমি বাশারসহ ১৫ জনের নামে মামলা করেছি।”

গুরুতর আহত অবস্থায় কালা মিয়া ও তার ছেলে বিপ্লব মিয়াকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।