কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে ‘বেঁধে নির্যাতন’, ৫ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় এক গৃহবধূকে চুল কেটে, গাছে বেঁধে নির্যাতনের পাঁচ দিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2019, 12:50 PM
Updated : 28 March 2019, 12:50 PM

গত রোববার এই ঘটনার পর ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেছেন।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এই নারীর সেরে উঠতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে ডা. রকিউর রহমান জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী আলেজান নেছা (৫৫) সাংবাদিকদের বলেন, ওইদিন বিকালে হঠাৎ শোরগোল শুনে তিনি বাইরে গিয়ে দেখেন ওই গৃহবধূকে তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী সাবিনাসহ ৫/৬ জন মিলে টেনেহিঁচড়েরে ঘর থেকে বের করছিল। তার মাথার চুল কেটে সাজিনা গাছের সঙ্গে ওড়না ও রশি দিয়ে বাঁধে। তরপর মারধর শুরু করে।  

নির্যাতিতার স্বামী সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র দেড় মাস আগে তালাকপ্রাপ্তা ওই নারীকে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রথম স্ত্রী সাবিনা আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে তার বাড়ি যায়। সেখানে তাকে এবং তার স্ত্রীকে মারধর করে।

“ঘটনার দিন নিজ বাড়িতে বসে স্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলম; এ সময় হঠাৎ প্রথম স্ত্রী তার ভাইদের সঙ্গে আমাদের বাড়ি এসে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রথমে আমাকে মারে, পরে ঘরে ঢুকে আমর স্ত্রীর চুল কেটে, টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে শরীরের জামা-কাপড় খুলে ফেলে এবং গাছের সাথে বাঁধে।”

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি কুষ্টিয়ার সভাপতি মঞ্জুরী বেগম বলেন, একজন গৃহবধূকে প্রকাশ্যে এমন মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি করছি।

একই সঙ্গে নির্যাতিতাকে সবরকম আইনি সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

ভেড়ামারা থানার ওসি খন্দকার শামীম বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।