রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসে এই ঘটনায় সংগঠনের তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তায়েফ রহমান রিয়াদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক ইফতিয়াখ ঈষাণ ও সদস্য রাশেদ খান মিলন।
এদের মধ্যে রিয়াদ ও মিলনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমান কমিটির সদস্য রাশেদ খান মিলনকে সভাপতি সবুজ কাজি ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. রুবেলের সমর্থকরা মারপিট করে। এর প্রতিবাদে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামাল-রঞ্জিত মার্কেটে তার সমর্থকরা জড়ো হলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ফের হামলা চালিয়ে রিয়াদ ও ঈষাণকে আহত করে বলে মিলনের পক্ষের ছাত্রদের অভিযোগ।
মিলনের পক্ষের নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনিছুজ্জামান জনির অভিযোগ, “প্রক্টরের উপস্থিতিতে মারপিট করে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মাথা ফাটিয়েছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সমর্থিতরা। বর্তমানে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।”
আরেক জ্যোষ্ঠ সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক বলেন, “বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ও সম্মেলন চেয়ে একটি গ্রুপ বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছে। এরই জের ধরে সাধারণ কর্মীদের উপর হামলা করেছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ।”
যুগ্ম-সম্পাদক নূরে আলম তপন বলেন, “বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদ করার ফলেই এখন নির্যাতনের খড়গ নেমে এসেছে।”
সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. রুবেল বলেন, “হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকসুর পরিবেশ এবং বর্তমান কমিটির সুনাম নষ্ট করার জন্যই একটি পক্ষ এসব প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।”
তবে হামলায় সভাপতি সবুজ কাজি ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. রুবেল জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আজহারুল হক বলেন, “আমি ভালো নেই। ঝামেলায় আছি। সাংবাদিকদের পরে ব্রিফ করা হবে।”