কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখাল ব্রিজ এলাকায় তাদের আটক করা হয়।
আটক নিজামুল হক (৩০) পুলিশের চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে এসআই (বর্তমান সাময়িক বরখাস্ত)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বলে এসপি জানান।
তার কথিত বান্ধবীর নাম হাসিনা আক্তার (২৪)। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি উপজেলায়।
এসপি মাসুদ বলেন, টেকনাফের দিক থেকে কক্সবাজারের দিকে আসার সময় একটি মোটরসাইকেল রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে রেজুখাল ব্রিজ সংলগ্ন বিজিবির চেকপোস্ট অতিক্রম করছিল।
“ওই মোটরসাইকেলটি থামিয়ে চালক যুবক ও তার বান্ধবীর শরীর তল্লাশি চালান বিজিবি সদস্যরা।
"এ সময় নিজামুল হকের শরীরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা তিন হাজার ২০০ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবির সদস্যরা জানতে পারেন আটক যুবক পুলিশের চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন শাখায় কর্মরত।"
ঘটনাটি অবহিত করার পর আটক যুবককে তার বান্ধবীসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে এসপি জানান।
তিনি আরও জানান, নিজামুল হককে কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন শাখা পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। এ অবস্থায় বান্ধবীসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে তিন ইয়াবাসহ আটক হয়েছেন।
পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবেবলে জানান এসপি মাসুদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইয়াবা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে ছয় মাস আগে নিজামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।