সোমবার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মাসুদ রানা সৈয়দপুরের হাতিখানা গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নানের ছেলে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, মাসুদ রানা দীর্ঘ সাত বছর ধরে পাবনার ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে কর্মরত থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
“তিনি ঢাকার ডা. মাসুদ করিমের নাম, বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ও সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করে ভূয়া চিকিৎসককে নীলফামারী জেলা পুলিশের সহায়তায় সৈয়দপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে পাবনায় আনা হচ্ছে।”
“বন্ধু চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানতে পেরে পাবনায় ছুটে আসেন তিনি। তার নাম-পরিচয় ও নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে একজন চিকিৎসক সেজে কাজ করছেন, বিষয়টি তার নিকট খুবই অপমানজক বলেও জানান তিনি।”
পরে তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা এবং পাবনা সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ দেন বলে জানান গৌতম।
এ ব্যাপারে প্রকৃত ডা. মাসুদ করিম পাবনার সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে ওই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের মালিক আব্দুল জববার বলেন, তার কাগজপত্র দেখে কখনও মনে হয়নি তিনি ভূয়া চিকিৎসক।
তিনি এখানে চাকরি করার আগে পাবনা শহরেও দীর্ঘদিন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন বলে জব্বার জানান।