সুবর্ণচরে ফের ‘ধর্ষণ’,  গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের এক মাসের মাথায় এবার এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; এ ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2019, 03:53 PM
Updated : 2 Feb 2019, 03:57 PM

পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার ছেলে ইস্রাফিল আজাদ স্বপন (২৩) ও চাঁন মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন (২২)।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে একই উপজেলায় সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে একদল লোক, যাদের মধ্যে এক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার নামও রয়েছে। ওই ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় হয়।

ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

শুক্রবারের ঘটনায় চরজব্বার থানায় মামলা হয়েছে।   

মামলার বরাত দিয়ে চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের ওই কিশোরী তার মাকে হাতিয়া যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে এগিয়ে দিতে স্থানীয় বুড়ার দোকানের কাছে যান।

“সেখান থেকে ফেরার পথে অটোরিকশা চালক স্বপন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া কথা বলে তার অটোরিকশায় তোলেন। এরপর তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে রাত ৯টার দিকে গ্রামের শাহজাহানের বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে নিজামসহ ধর্ষণ করে।”

পরিদর্শক ইব্রাহিম জানান, শুক্রবার সকালে মেয়েটি বাড়ি পৌঁছে ঘটনাটি পরিবারকে জানান এবং শুক্রবার রাতে তার বড় ভাই বাদী হয়ে স্বপন ও নিজামকে আসামি করে চরজব্বর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।

ইব্রাহিম জানান, আসামিদের শনিবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক উজমা শোকরানা শুনানি শেষে পরে আদেশের দিন ধার্য করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই দিন বিকালে বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলেও ইব্রাহিম জানান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, শনিবার দুপুরে মেয়িটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নমুনা সংগ্রহ করে রাখেন। এ বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দেবে।