বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বাঘ শাবকের জন্ম

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আরেকটি বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 05:31 PM
Updated : 14 Jan 2019, 05:33 PM

আড়াই মাস আগে শাবকটির জন্ম হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ এতদিন তা প্রকাশ করেনি।

এর আগে এই পার্কে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাঘের বাচ্চার জন্ম হয়। এটি হলো তৃতীয় বার।

পার্কের বণ্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান বলেন, গত ১ নভেম্বর এই শাবকের জন্ম হয়। শাবক ও তার মায়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই খবরটি গোপন রাখা হয়েছিল। এখন উভয়েই সুস্থ রয়েছে।

“শাবক নিয়মিতভাবেই মায়ের দুধ পান করছে। মা-সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার মাকে অতিরিক্ত খাবারও দেওয়া হচ্ছে।”

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এই পার্কে ৩য় বারের মতো বাচ্চা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বাঘিনী প্রথমবারের মতো শাবকের জন্ম দেয়। 

নিরাপত্তার জন্য মা ও শাবককে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক বছর পর তাকে অন্যান্য বাঘের সাথে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

“নতুন শাবকটি জন্মের পরই তার পেছনের পা দুইটি অনেকটা প্যারালাইজ ছিল। ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারত না। বাচ্চাটি অসুস্থ থাকায় গণমাধ্যমকে তার জন্মের খবরটি জানানো হয়নি।”

বর্তমানে চিকিৎসা ও সেবার পর বাচ্চাটি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।

২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অন্য চারটি মাদি ও দুইটি পুরুষ বাঘ এ পার্কে আনা হয়। তার মধ্যে একটি বাঘিনী ২০১৭ সালে তিনটি এবং ২০১৮ সালের ৮ অগাস্টে আরও তিনটি শাবক জন্ম দেয়।

নতুন এ সদস্য নিয়ে এ যাবত ওই পার্কে বাঘ পরিবারে সাতটি শাবক জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে পার্কে মোট ১৩টি বাঘের মধ্যে চারটি পুরুষ এবং নয়টি মাদি।    

গত ৮ই অগাস্ট ‘রাণী’ নামের বাঘিনী যে তিনটি শাবকের জন্ম দেয় তার মধ্যে একটি ছিল সাদা। এখানের পরিবেশ ও প্রাণীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পালন করায় প্রতিনিয়ত বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঘ ও সিংহের বেলায় আশার সঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন পার্ক ও দর্শনীয় স্থানে প্রাণী সরবরাহ করা যাবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।