উচ্চ আদালতের আদেশে মামলার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ১৩২ আসামির মধ্যে ৬১ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তারই করতে পারেনি।
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মিঠাপুকুরের বাতাসন এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার নামে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
১৪ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে ছেড়ে আসা খলিল পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন এলাকায় চলন্ত বাসে বেশ কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এতে পুরো বাসে আগুন ধরে যায়। বাসের ভেতরে থাকা শিশুসহ ৬ যাত্রী জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। আহত হন অন্তত ২৫ জন।
আহতদের অনেকেই চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় ৮৭ জন জামায়াত শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মিঠাপুকুর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্ত করে মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ১৩২ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার বিচার রংপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-১ এ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আব্দুস সাত্তার বলেন, মামলায় ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি রয়েছে।
আব্দুস সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, আসামিপক্ষ হাই কোর্টে মামলাটির কোয়াশম্যান্টের আবেদন করার পর কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।