শিল্পকলা একাডেমি আয়োজনে এই নাটক মঞ্চস্থ হবে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী জানান, আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসকে ভিত্তি করে রচিত নাটকটি শুক্রবার মঞ্চস্থ হবে। পরদিন শনিবার একই স্থানে দ্বিতীয়বার মঞ্চস্থ করা হবে।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘মহাস্থান’ নাটকে বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন ইতিহাসের সঙ্গে সময়ের পরম্পরায় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পর্যন্ত সময়কে একক গ্রন্থনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
“এই নাটকে শিকার যুগ থেকে শুরু করে বৈদিক যুগ, আদিবাসী পর্ব, রামায়নের গীত, কালিদাসের কাব্য, চর্যাপদ, সুফিনামা, বৈষ্ণব পদাবলী, ব্রাহ্মসংগীত, লোকগান, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ব্রতচারীদের গান, পঞ্চকবির গান, ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ইতিহাস, কাব্য-গীত ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা পালাগান রূপে প্রকাশিত হয়েছে।”
সেলিম মোজাহার সোয়া দুই ঘণ্টার এই নাটক রচনা করেন বলে জানান লাকী।
শিল্পকলা একাডেমি বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রত্ননাটক করছে উল্লেখ করে লাকী জানান, প্রায় চার বছর আগে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে ‘সোমপুর কথন’ এবং নরসিংদীতে ‘উয়ারি বটেশ্বর’ নামের প্রত্ননাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।
মহাস্থান নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে মহাস্থান নাটকটি রচনা করা হয়েছে এবং প্রায় এক বছর ধরে শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে অনুশীলন করার পর মঞ্চায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ ওই নাটকের মঞ্চায়ন উদ্বোধন করবেন বলে আয়োজকরা জানান।
ওই সময় বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অভিনেতা আতাউর রহমান, অধ্যাপক আব্দুস সেলিম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ ও পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।