বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বুধবার ক্লাস চলাকালে দাশপাড়া ইউনিয়নে খেঁজুরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আল আমিন ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তার মা সেতারা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের পর এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
ওসি মোস্তাফিজুর জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পর বহিরাগত দুই ছাত্র ঢুকলে আল-আমিন প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানান। তখন প্রধান শিক্ষক বহিরাগত ওই ছেলেকে বকা দিয়ে চলে যেতে বলেন।
“পরে ছেলেগুলো আল-আলিনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।”
আহত আল-আমিন সাংবাদিকদের বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় কাওসার ও শাহিনসহ কয়েকজন বহিরাগত একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ের কয়েক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিল। এসময় সে তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি।
“ঘটনাটি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করি। স্যার ওদের ডেকে শাসিয়ে বিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এতে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয় উত্ত্যক্তকারীরা। পড়ে শ্রেণিকক্ষে আমার উপর হামলা করে তারা।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “আল-আমিন আমাকে বিষয়টি অবগত করলে আমি ওদের শাসিয়ে বিদ্যালয় থেকে তারিয়ে দেই। পরে হঠাৎ ওর উপর হামলা করেছে বহিরাগত ওই ছেলেরা।”