মঙ্গলবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার কবুরহাট এবং দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে গোলাগুলির ঘটনাগুলো ঘটে বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাছির উদ্দিন বলেন, রাত ২টার দিকে কবুরহাটের মাদ্রাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে মাদক চোরাকারবারিদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখান যায়।
“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।”
পরে ঘটনাস্থল থেকে আজমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ওসির ভাষ্য।
২১ বছর বয়সী আজম দৌলতপুর উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের রফিকুলে ছেলে বলে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান বলেন, বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দুইদল মাদক কারবারির গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল রাত ৩টার দিকে সেখানে যায়।
“এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া গেলে পুলিশ তাকে দৌলতপুর হাসাপতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষাণা করেন।”
পুলিশ বলছে, নিহত মদন (৪৫) কুষ্টিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের রিফাজ উদ্দিনে ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেড় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে থানায়।
ওসি দারা খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ৯০০ ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলেও ওসির ভাষ্য।