নওগাঁয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2018, 06:44 AM
Updated : 25 Oct 2018, 06:44 AM

এ ঘটনায় প্রতিবাদে ‘বিশা ইউনিয়ন সচেতন জনগনের’ আত্রাই উপজেলা পরিষদের সামনে পাঁচ শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষ বুধবার দুপুরে একঘন্টা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। 

পরে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলামের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবি জানান তারা।

ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও। তবে ইউপি চেয়ারম্যান চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিশা ইউনিয়নের অস্বচ্ছল মৎস্যজীবী ও ভিক্ষুকদের জন্য সরকারিভাবে এক হাজার ৪০০টি ভিজিএফ কার্ড নিবন্ধন করা হয়। চলতি বছর ঈদ-উল আযহা সময়ে কার্ডধারী প্রতি পরিবারের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ আসে।

কিন্তু চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান কার্ডধারীদের নামের জায়গায় ‘ভূয়া ব্যক্তিকে দেখিয়ে’ চাল উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। কিছু বললে মামলার ভয় দেখানো হয় বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ১০ টাকা কেজির চাল স্বচ্ছল ও মৃত ব্যাক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বলে বিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান।

শ্রীধরগুরনই গ্রামের ভুক্তভোগী হামিদুল ইসলাম বলেন, মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের নিচে মাছধরা সরকারিভাবে নিষেধ। এ সময় জেলেরদের সহায়তায় ভিজিএফ কার্ডধারী প্রতি জেলে পরিবারের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কিন্তু কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে সেগুলো চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন বলে হামিদুল অভিযোগ করেন। 

বৈঠাখালী গ্রামের জলিল বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান জমি ও বাড়ি বন্ধক রেখে নির্বাচন করেছিল। এখন তিনি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে রাজশাহীতে বাড়ি করেছেন। আমাদের চাল আত্মসাত করে গাড়ি-বাড়ি করছেন তিনি।”

অভিযোগের  বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, “চাল আত্মমাতের অভিযোগ ভুয়া, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”

মৎস্যজীবিদের নামে কোন চাল বরাদ্দ আসেনি এবং তিনি কোন চাল উত্তোলন করেননি বলেও দাবি করে তিনি।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”