ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, মুখোশধারী ডাকাতরা তাদের মারধোর করে টাকা-পয়সা এবং দামি জিনিসপত্র লুটে নিয়ে গেছে।
তবে কতজন যাত্রীর কাছ থেকে কী পরিমাণ জিনিসপত্র খোয়া গেছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।
সড়কে গাড়ি আটকে ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা বাগানের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায় বলে বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলীর ভাষ্য।
ডাকাতির শিকার একাধিক যাত্রী স্থানীয় মিরপুর বাজারের দোকানিদের বলেছেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামাইছড়ার পাহাড়ি এলাকায় ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহা সড়কে তাদের গাড়ি থামানো হয়।
পরে মুখোশধারী ডাকাতরা বাসে উঠে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের টাকা, মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র লুটে নেয়।
মিরপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ডাকাতির ঘটনার সময় কামাইছড়া-নতুন বাজার থেকে মিরপুর বাজার পর্যন্ত কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, শ্রীমঙ্গল-মিরপুর সড়কে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারারাত পুলিশের টহল চলে। রোববারও পুলিশ সেখানে টহলে ছিল।
“রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামাইছড়া চা-বাগান এলাকায় একদল ডাকাত গাড়ি আটকে লুটপাট শুরু করে। টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের দিকে শটগানের গুলি ছোড়ে। পরে ডাকাতরা চা বাগানের ভেতর দিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।