সোমবার বিকালে সাড়ে ৫টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল বলে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকাল ৭টায় মাওয়া প্রান্ত থেকে ফেরি ‘কুমিল্লা’ কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এবং কাঁঠালবাড়ি প্রান্ত থেকে ফেরি ‘ফরিদপুর’ শিমুলিয়া ঘাটে ছেড়ে যায়। ফেরি দুটি গন্তব্যে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি বুঝে বাকি ফেরিগুলো ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
পদ্মা নদীতে উজানের ঢলে প্রচুর পরিমাণে পলি আসায় ফেরি চলাচলের চ্যানেলে তীব্র নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে; এতে বেশ কিছুদিন ধরেই ফেরি চলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নাব্যতা সংকট কাটাতে সোমবার বিকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া নৌপথের সরু চ্যানেলে ড্রেজার বসিয়ে খনন কাজ শুরু হলে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ( ড্রেজিং) আ ফ ম মাশরিকুল আরেফিন বলেন, “চ্যানেলের মুখে ড্রেজার বসালেও ফেরি চলাচলের জন্য প্রায় দুইশ ফিট জায়গা রাখা হয়েছে। ফেরি সার্ভিস কর্তৃপক্ষ একটু সাবধানতার সঙ্গে ফেরি চালালে ফেরি সচল রাখা সম্ভব।”
সোমবার খনন কাজ শুরুর পর শিমুলিয়া ঘাটে আসা গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও সকাল থেকে ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে জানিয়ে মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আরমান বলেন, এখন দুই শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে; এর মধ্যে ট্রাকই বেশি।