নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকলেও ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত ১৩ হাজার পরিবার ও ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১৫শ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল।
“এর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৪টি, ফুলছড়িতে ১৩টি, সাঘাটায় ১৩টি ও গাইবান্ধা সদরে ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।”
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে গত দুই সপ্তাহে উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকা, শ্রীপুর, কঞ্চিবাড়ী ও চণ্ডিপুর ইউনিয়নে ১৪৫০পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান শামীম বলেন, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে উপজেলার কঞ্চিপাড়া, ফজলুপুর, এরন্ডাবাড়ী, উড়িয়া ও গজারিয়া ইউনিয়নের ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওইসব ইউনিয়নের ৪০০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে।
গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ৮৪টি গ্রামের ১২ হাজার ৮১০টি পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো বুধবার থেকে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুহুল আমীন বলেন, বন্যায় গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৪৫০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি কমলে এসব ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে পানি বাড়লে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনের কবল থেকে মানুষের জানমাল রক্ষা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।