মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার মোজাফফর ইউনিয়নের গগডা আটকান্দিয়া মেহেরা আক্তার (৪০) ও সন্তু মিয়াকে এবং এর দুদিন আগে একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে সবুজ মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, বুধবার এ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করলে আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানির দিন রাখে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে খেলতে যাওয়ার পর বাড়ি ফেরেনি মোজাফফর ইউনিয়নের গগডা আটকান্দিয়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল সোবাহান ও মেহেরা আক্তারের ছেলে জনি (১১)। দুইদিন পর ৯ সেপ্টেম্বর গ্রামের একটি পুকুরে জনির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়।
জনি স্থানীয় গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওই ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর জনির বাবা আব্দুল সোবাহান বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছামেদুল হক বলেন, গত রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে সবুজ মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মেহেরা ও সন্তু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছামেদুল হক আরও বলেন, একই গ্রামের মাজু মিয়াসহ কয়েকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে জনির পরিবারের বিরোধ চলছিল। এ কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু জনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কীভাবে জনিকে হত্যা করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে তা পরে জানানো হবে বলে ছামেদুল জানান।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জন্ম হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় চাচা আব্দুল ক্বারী দত্তক নেন জনিকে। সম্প্রতি আব্দুল ক্বারীর স্ত্রী ঝড়না আক্তার চাকরি নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় জনি তার মায়ের কাছে চলে আসে।