জেলার মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার ভোরে কুয়াকাটার খানাবাদ কলেজ এলাকায় বাবুল মল্লিকের মেয়ে মরিয়ম (১৫) খুন হয়েছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মরিয়ম একটি ঘরে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে মরিয়মের ছোট এবং বোন-দুলাভাইও ছিলেন।
“ওই ঘরের মেঝে থেকে রক্তমাখা দুটি ছুরি, মরিয়মের নূপুর ও দুই টুকরো মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘরের মেঝেসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু মরিয়মকে জীবিত বা মৃত কোনো অবস্থায়ই পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কিছু টের না পাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।”
মাংসের টুকরো দুটো মানুষের কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “সব আলামত জব্দ করেছি। ভালভাবে দেখেছি। আপাতদৃষ্টিতে এটি হত্যাকাণ্ডই মনে হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধী যে-ই হোক, আমাদের তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
মরিয়মের বাবা বেঁচে নেই। মরিয়ম মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মা নূরজাহান বেগম মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে তার শিশুছেলে হামিম (৩) ও মেয়ে মরিয়মকে (১৫) নিয়ে এক খাটে নিচতালায় ঘুমিয়ে ছিলেন। দোতালায় নূরজাহানের বড় মেয়ে রেশমা (১৯) ও রেশমার স্বামী মাঈনুল ছিলেন।
রাত ৩টার দিকে রেশমা টয়লেটে যাওয়ার জন্য নিচে নেমে নূরজাহান ও মরিয়মকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছেন। এরপর ভোরে নূরজাহান মেয়ে মরিয়মকে বিছানায় না দেখে খুঁজতে গিয়ে ঘরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত দেখে চিৎকার দেন। বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা এসে রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়।