গোপালগঞ্জে ‘প্রতিবন্ধী’ গৃহকর্মীকে শিক্ষিকার নির্যাতন

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘প্রতিবন্ধী’ এক গৃহকর্মীকে মারধর করেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2018, 03:45 PM
Updated : 13 Sept 2018, 03:47 PM

প্রায় সময়ই ডলি (২২) নামের ওই তরুণীতে মারধর করলেও বৃহস্পতিবার এলাকার লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরে মোস্তাইন বিল্লাহর ভাড়া বাড়িতে থাকেন শিক্ষকা জেসমিন আরা সাবিনা।

তিনি টুঙ্গিপাড়া খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু কল্যাণ শাখার সহকারী শিক্ষক। তার স্বামী  শেখ নূর আলম ব্র্যাক মুকসুদপুর শাখার ব্যবস্থাপক।

নির্যাতনের শিকার ডলি সাংবাদিকদের বলেন, তার বাড়ি পাবনার আটঘড়িয়া উপজেলায়। জেসমিন আরা সাবিনার বাবার বাড়িও একই গ্রামে।

ডলি জানান, ছয় মাস আগে জেসমিন তাকে টুঙ্গিপাড়ার এই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসেন গৃহকর্মী হিসেবে।

“আমাকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও আমি ঠিকমতো করতে পারতাম না। কাজে ভুল হলেই সাবিনা আপা মারপিট করত। আজ (বৃহস্পতিবার) আমাকে বেদম মারপিট করেছে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বাড়ির মালিকের ঘরে রেখে যায়।”

বাড়ির মালিক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, “মেয়েটি আমার হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি মেয়েটির পরিবারকে জানিয়েছি। তার বাড়ির লোকজন আটঘড়িয়া থেকে রওনা দিয়েছে। তারা টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছলে মেয়েটিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

স্কুল শিক্ষকা জেসমিন আরা সাবিনা মেয়েটিকে মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেন, “মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। পরিবারের লোকজন তাকে শাসন করতে বলেছিল। কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও ভুল করত। ভুল করলে তাকে শাসন করতাম। বৃহস্পতিবার মারপিটের পরিমাণ একটু বেশি হয়েছে। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাকিব হাসান তরফদার বলেন, টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহোদী হাসান আমাকে বিয়টি জানিয়েছেন। মেয়েটিকে হস্তান্তরের সময় আমাকে অবহিত করলে অবশ্যই উপস্থিত থাকব।