বগুড়ায় তরুণ কর্মজীবীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

বগুড়ায় ইন্টারনেট সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2018, 03:48 PM
Updated : 29 August 2018, 04:14 PM

বুধবার দুপুরে জেলা শহরের মেরিনা রোডে গওহর প্লাজার তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘বগুড়া ইনফো’র প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকজনের সঙ্গে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি।

মিজানুর রহমান (২১) নামের ওই তরুণ ‘বগুড়া ইনফো’র ব্যবস্থাপক।

এই ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া ইনফোর কর্ণধার রেজা বিপ্লব সাংবাদিকদের বলেন, মিজানুর রহমান চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়াও করতেন।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানের বাড়ি জেলার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের উমুরদীঘি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জাহিদুর রহমানের ছেলে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে গওহর প্লাজার অবস্থান। ওই ভবনের তৃতীয় তলার পূর্ব দিকের শেষের একটি কক্ষে বগুড়া ইনফো অবস্থিত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে কার্যক্রম শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত কয়েকশ ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে।

বুধবার বিকালে বগুড়া ইনফো কার্যালয়ে গিয়ে মনিরুজ্জামান নামে এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১টার দিকে দুজন লোক সেখানে গিয়ে ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চান শহরের খান্দার এলাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া যাবে কি না।

“এ নিয়ে কথা বলার পর্যায়ে ভেতরে ঢোকা দুজনের একজন বেরিযে যান। কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি সঙ্গে আরও ৫/৬ জন এসে ব্যবস্থাপক মিজানকে জিজ্ঞাসা করে আপনার নাম কি মিজান?

“মিজান ভাই হ্যাঁ বলার পর লোকগুলো তাদের সঙ্গে কিছু কথা আছে বলে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। তারপর মিজান ভাই আর আসেননি।”

বগুড়া ইনফোর মালিক রেজা বিপ্লব বলেন, ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।

“ঘটনাটি জানার পরপরই আমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি তাকে জানাই। পরে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।”

সদর থানার এসআই জিলালুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি গওহর আলী ভবনের সবগুলো সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন।

কে বা কারা মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা বিপ্লব বলেন, “ও আমার প্রতিবেশী। খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। কারও সঙ্গে ওর কোনো বিরোধ নেই। কারা কেন এটি করল তা আমারও বোধগম্য হচ্ছে না।”

মিজান ইমলামিক মনোভাবের এবং ধর্মীয় বিষয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করতেন বলে রেজা জানান।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আইটি বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সাব ইন্সপেক্টরকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।