পটুয়াখালীতে কিশোরী খুন, মাকে ‘অজ্ঞান’ অবস্থায় উদ্ধার

পটুয়াখালীতে এক কিশোরী বাড়িতে খুন হয়েছে; আর সেখান থেকে তার মাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2018, 09:09 AM
Updated : 15 August 2018, 09:22 AM

পরিবারের অভিযোগ, মা ও মেয়েকে ধর্ষণের পর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

মহিপুর থানার এসআই মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে তারা সেরাজপুর গ্রামের ইসমাইল ঘটরামির মেয়ে ইভার (১২) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।

তবে কী ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি।

ইভার চাচা মো. ইউসুফ ঘরামি বলেন, “মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ইভার মা ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার করতে করতে ঘর থেকে বের হন। তারপর ধর্ষণ করা হয়েছে বলতে বলতে জ্ঞান হারান।

“ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ঘরে ইভাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। তার স্পর্শকাতর জায়গা দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে দেখে স্থানীয়রা তাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আরিফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “কিশোরীর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।”

ইভার মাকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে ‘চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে’ বলে বুধবার সকালে তিনি জানান।

ইভার চাচা ইউসুফ ঘরামির অভিযোগ, “মা ও মেয়েকে ধর্ষণের পর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।”

তবে কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

ইভার বাবা ইসমাইল ঘরামি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাজারে ছিলেন। পরে ফোন পেয়ে বাড়ি ফেরেন।

বুধবার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমি এখন থানায় আছি। পরে বলব।”

এ বিষয়ে জানার জন্য মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলছি।”

এর ঘণ্টা খানেক পরে আবার তাকে ফোন করা হলে তিনি লাইন কেটে দেন।

পুলিশ সুপার মইনুল হাসান ‘ইভার গলায় রশির দাগ রয়েছে’ বলে জানালেও কী ঘটেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, “সন্দেহের তীর বিভিন্ন দিকে রয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”