শরীয়তপুরে হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ-ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় একটি হিন্দু পরিবারকে ‘উচ্ছেদ করতে’ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2018, 02:25 PM
Updated : 8 July 2018, 02:25 PM

পরিবারটি এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে থানা পুলিশকে এবং তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, নড়িয়ার ঘড়িষার ইউনিয়নের সিংহলমুড়ি গ্রামের সঞ্জয় কুমার পাল, অঞ্জয় কুমার পাল, প্রবীর চন্দ্র পাল, নিপুল পাল ও দুলু পাল দীর্ঘদিন যাবত তাদের পৈত্রিক জমি সিংহলমুড়ি মৌজার ৮১২, ৮১৩ নম্বর দাগের ৪৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছেন।

সম্প্রতি স্থানীয় এক প্রভাবশালী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, সখিনা খাতুনসহ একটি দল তাদের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে বেলে সঞ্জয়ের অভিযোগ।

“এ কারণে সম্প্রতি সঞ্জয় পালদের বাড়িতে তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায় হাড়ি-পাতিল তৈরির সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে সাত্তার হাওলাদার ও তার সমর্থকরা।”

এ সময় বাড়ির লোকজন বাধা দিলে তাদের আক্রমণকারীরা উপর হামলা চালায় বলে সঞ্জয় বলেন।

সঞ্জয় আরও অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে তারা একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে সাত্তার হাওলাদার ও তার সন্ত্রাসী লোকজন বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা গৃহনির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায়।

“তারা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে মালামাল পানিতে ফেলে দেয়। স্থানীয় লোকজন মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সাত্তার হাওলাদার প্রভাবশালী হওয়ায়  স্থানীয় লোকজন তার ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।”

সঞ্জয় কুমার পাল গত ২০ জুন শরীযতপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সাত্তার হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক। ৮১২ ও ৮১৩ দাগে আমি এবং আমার স্ত্রী ৭২ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। এর মধ্যে ভিপি থাকায় ১২ শতাংশ কবলা করে দিতে পারেনি। বাকি ৬০ শতাংশের দলিল আছে।”

এছাড়া কোনো ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমীন বলেন, “আমার কাছে সঞ্জয় পাল লিখিত আবেদন করার পর আমি থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিষয়টি ঘড়িষার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।”