সাভার থানার এসআই আজগার আলী জানান, দুইজনকে আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার রাত ১১টার দিকে সাভার-সিংগাইর সেতুর নিচে বংশী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জয়ন্তর (৪) বাবা পোশাক শ্রমিক সনু সাভারের হেমায়েতপুরে একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনি হেমায়েতপুর এলাকার কাঁঠাতলায় আউয়াল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া বাসায় সপরিবার বাস করেন।
সনু বলেন, ১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে জয়ন্ত নিখোঁজ হয়। এলাকায় মাইকিংসহ খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে ২ জুলাই থানায় ডায়রি করেন।
“এরই মধ্যে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে। পরে বিকাশে সাত হাজার টাকা দেই। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে ফেরত দেয়নি।”
এদিকে পুলিশও জিডির পর তদন্ত শুরু করে।
এসআই আজগার বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি এলাকায় গোয়ান্দা নজরদারি শুরু করা হয়। অপহরণের পর থেকে প্রতিবেশী শুভ ও নাছির শিশুর পরিবারকে সান্ত্বনা ও নানা রকম বুদ্ধিপরামর্শ দিচ্ছিলেন।
“বিষয়টি সন্দেহ হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরিু করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে নদী থেকে কাপড়ের ব্যাগে ভরা লাশ উদ্ধার করা হয়। তার হাত-পা বাঁধা ছিল। সম্ভবত শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।”