শুক্রবার তিন দিনের সফরে রংপুর এসে এরশাদ বলেন, “খালেদা জিয়া কারাগারে চিকিৎসা পাচ্ছেন। সঙ্গে কাজের মেয়ে পেয়েছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা কারাগারে দিয়ে তাকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
“অথচ আমি ছয় বছর কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসা তো দূরের কথা, আমাকে চিকিৎসকের মুখ পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া তো চেয়েছিলেন আমি কারাগারেই মারা যাই। কিন্তু আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।”
রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরশাদ বলেন, “খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকার এবং বিএনপির পক্ষ থেকে হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেওয়া ঠিক নয়। আমি নিজেও সিএমএইচে চিকিৎসা নেই। সেনা পরিবারের সদস্য হিসেবে খালেদা জিয়া সিএমএইচে যেতে পারেন। তিনি কেন যে সিএমএইচে যেতে চান না সেটা পরিষ্কার নয়।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এরশাদ এ সময় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে সম্পর্কেও কথা বলেন।
“যারা মাদক ব্যবসা করে সমাজ ধ্বংস করছে তাদের মৃত্যুতে আমার শোক নই। যত দিন মাদক নির্মূল করা যাবে না তত দিন অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত। তবে রাজপ্রাসাদ সব খালি। রাজারা নেই। গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে। চুনোপুঁটিরা মরছে।”
আসন্ন গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, “তবে এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরাই জয়ী হবে। তাদের অবস্থা ভালো। আশা করছি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও আশ্বস্ত করেছেন। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহামেদ বাবলু, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির এরশাদের সঙ্গে ছিলেন।