তবে কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে না বললেও দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, তদন্তের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত নিয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ চলছে। এসব কার্যক্রম শেষ হলেই চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হবে।
হামলার তিনদিন পর ১০ জুলাই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ঘটনাস্থল থেকে আটক দুইজনসহ অজ্ঞাত সংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
পাকুন্দিয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামছুদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে শফিউল ইসলাম ওরফে শরীফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম ও জাহিদুল হক ওরফে তানিম নামে দুই ‘জঙ্গিকে’ আটক করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শফিউল ইসলাম ওরফে শরীফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার ২৭ দিন পর ৪ অগাস্ট ময়মনসিংহে চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ ফিরিয়ে আনার সময় রাত ১১টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা এলাকায় র্যাবের গাড়িবহরে হামলা চালালে বন্দুক যুদ্ধের সময় জঙ্গি শরীফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম (২২) ও এক অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারী নিহত হয় বলে র্যাব জানায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, শোলাকিয়া মাঠে জঙ্গি হামলার মামলায় বর্তমানে জাহিদুল হক ওরফে তানিমসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে আটক আছেন। বাকি চারজন হচ্ছেন জেএমবি সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধি, জেএমবি সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ও আনোয়ার হোসেন। এই চার আসামি গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলাসহ সারা দেশে পরিচালিত বিভিন্ন জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটক ছিলেন। পরে তদন্ত শেষে শোলাকিয়া মাঠে জঙ্গি হামলার মামলায় আসামি করে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষ হলেই চার্জশিট দেওয়া হবে।