নিহত আসমা আক্তার উপজেলার শাকচর গ্রামের ফয়েজ আহমদের মেয়ে।
ওই গ্রামের একটি পুকুর থেকে শনিবার রাতে বাড়ির লোকজন মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে বলে সদর থনার ওসি লেকামান হোসেন জানান।
পরিবারের অভিযোগ, আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
হাসনার মামা মো. হানিফ বলেন, শনিবার দুপুরে আসমাকে বাড়িতে রেখে তার বোন বাইরে যায়। এ সময় বাড়িতে আসমা ও তার নানু ছিল।
সন্ধ্যার পর তার বোন বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বিবস্ত্র অবস্থায় আসমার লাশ ভাসতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় আসমাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান হানিফ।
আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে হানিফ অভিযোগ করলেও কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি তিনি।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়নাল আবদীন বলেন, আসমাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
ওসি লেকামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।