শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ২/২ রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি মহড়ার উদ্বোধনের সময় একথা জানান তিনি।
সচিব বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে এক লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ হাজার পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার পরিবারকে ক্যাম্পের অন্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্ষা মৌসুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড় ধস ও পাহাড়ি ঢলের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এ লক্ষ্যে স্থানীয় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিসহ সশস্ত্র ও সরকারি বিভিন্ন বাহিনী এবং বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
তাছাড়া বিশাল পাহাড়ী এলাকায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেওয়ায় বন ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের পর খালি জায়গায় নতুন করে বনায়ন করে আগের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নের মহড়ায় বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, বিএসসিসি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গারা নেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সেনাবাহিনীর কক্সবাজারস্থ ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।