রোববার বিকালের এই সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস ও কয়েকটি দোকানও ভাংচুর হয় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
দিনভর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শহরে উত্তেজনা থাকার পর বিকালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে আসা বাস শহরে আসার পর এই সংঘাত বাঁধে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের একটি বাস, শিক্ষকদের বহনকারী মাইক্রোবাস ও কর্মচারীদের বহনকারী মাইক্রোবাস শহরের পুলিশ লাইনে আটকে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি গাড়িই ভাংচুর করা হয়। এসময় প্রায় দু’ঘণ্টা কুমিল্লা মহানগরীর পুলিশ লাইন থেকে কান্দিরপাড় সড়ক, শাসনগাছা সড়ক, জেলখানা রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কাঁদুনে গ্যাস ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি থেকে’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ-শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটনার সূত্রপাত হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, “বাসের ভেতর থেকে কোনো কোনো ছাত্র বিষয়টি উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ঘটনাটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে।”
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি এবং জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। বিস্তারিত জেনে সোমবার করণীয় ঠিক করব।”