অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ বলেন, গত ২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল ছয় দিনে তাদের এই জরিমানা করা হয়।
“বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থী ও মেয়র প্রার্থীর ২৯ জন কর্মী-সমর্থককে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
সব প্রার্থীকে আচরণবিধির কপি দেওয়া হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যানার-পোস্টার রশিতে টানিয়ে, লিফিলেট বিলি করে প্রচারণার কাজ করতে পারবেন প্রার্থীরা। গাড়িতে, দেয়ালে, খুঁটিতে আঠা লাগিয়ে পোস্টার সাঁটানো আচরণবিধির লঙ্ঘন।
“নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে না। নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারদের টিভি, ভিসিআর, ভিসিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। কোনোরূপ পানীয়, খাদ্য পরিবেশন, উপঢৌকন, বকশিস ইত্যাদি দেওয়া যাবে না। প্রচারণার কাজে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না। ৬০-৪৫ সেন্টিমিটার সাইজের সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহারের নিয়ম থাকলে কোনো প্রকার রঙিন পোস্টার ব্যবহারের বিধান নেই। নির্বাচনে কোনো মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না।”
কিন্তু এসব বিধি অনেকেই লঙ্ঘন করছে বলে তিনি জানান।
বিধি বাস্তবায়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি দল ৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এছাড়া এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। তার পরও ইনটেনশনালি অনেকেই আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। তা বন্ধ করতে আমরা নিবিড়ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।”