নিহত লাভলী আক্তার (২৩) জেলার শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে।
শ্রীপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক তদন্তের বরাতে বলেন, কিছুদিন আগে লাভলীর মা খোরশেদা খাতুন স্থানীয় জৈনাবাজারের হাবিবুল্লাহর ওয়ার্কশপ থেকে জানালার গ্রিল তৈরি করান।
“দুই হাজার টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় গত ৩ মার্চ হাবিবুল্লাহ টাকা চাইতে খোরশেদার বাড়ি যান। পাওনা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাবিবুল্লাহর সঙ্গে খোরশেদার বাগবিতণ্ডা হয়। বিকেলে হাবিবুল্লাহ কয়েক যুবককে নিয়ে খোরশেদার বাড়ি যান। খোরশেদাকে না পেয়ে তারা লাভলীকে বেধড়ক মারধর করেন।”
ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার লাভলী মারা যান জানিয়ে এসআই মোস্তাফিজুর বলেন, লাভলী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ডুবাইল এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। মোফাজ্জল বিদেশ থাকায় লাভলী শ্রীপুরে বাবার বাড়ি থাকতেন।
লাভলীর মা খোরশেদা থানায় হত্যা মামলা করার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে হাবিবুল্লাহ, একই গ্রামের সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী পারুল আক্তার ও লাকচতল গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে কাওসার।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।