রোববার সম্মেলনের শেষ দিন হাজারো দর্শণার্থীর ভিড়ে মুকরিত হয় নীলফামারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ।
দিনভর নানা কর্মসূচির পর শুরু হয় শিল্পীদের সান্ধ্য অনুষ্ঠান।
শুরুতে স্থানীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা শুরু করেন- ‘উড়িয়ে ধ্বজা অগ্রভেদী রথে, ওই যে তিনি ওই যে বাহির পথে।’ এরপর ‘আগুনের পরশমনি ছোয়াও প্রাণে।’
একে একে চলতে থাকে গান পরিবেশন।
এর আগে দিনব্যাপী ছিল নানা কর্মসূচি।
নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ৯টায় শিল্পী ও প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলন সমাপ্তির কর্মসূচি। এরপর সম্মেলন চত্বরে হয় আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।
বিকাল ৪টায় দ্বিতীয় অধিবেশনে নীলফামারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দেওয়া হয় গুণীজন সম্মাননা।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী রাজশাহীর মঞ্জুশ্রী রায় ও লোকো সঙ্গীত শিল্পী রংপুরের উপেন্দ্রনাথ রায়কে রবীন্দ্র পদক ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননা হিসেবে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
এরপর শোক প্রস্তাব পাঠ, সম্মেলনের প্রস্তাব পাঠ ও সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করা হয়।
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ড. সানজীদা খাতুনের সভাপতিত্বে এসব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম। সম্মেলন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আহসান রহীম মঞ্জিল।
বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “আমাদের একটি স্বপ্ন আছে, এটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। সেই মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে আমরা বার বার হোঁচট খাই, আঘাত পাই, বার বার অপশক্তি আমাদেরকে নানাভাবে বিপদাপন্ন করে তোলে।
জাতীয় রবীন্দ্র সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন বলেন, ‘এ কদিনের আলোচনায় আমরা মানবিক সমাজ গঠনের কথা বলছি। একটি প্রশ্ন উঠেছিল এর আগে, যে সভ্যতা জিনিসটা কী, সভ্যতা আমরা কাকে বলব। আমার তখন মনে পড়লো, আমাদের আশ্রয় যিনি, আমাদের সঙ্গী যিনি সেই রবীন্দ্রনাথকে।
“যিনি রক্ত করবী নাটকে বলেছিলেন, সভ্যতা কোন ভয়াবহতার দিকে চলেছে।”