বুধবার সকাল থেকে ঢাকা থেকে বগুড়া হয়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১১ জেলার দিকে এবং এসব জেলা থেকে বগুড়া হয়ে ঢাকামুখী বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
তবে বগুড়ার ভেতরে লোকাল বাস চলাচল করছে।
বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মণ্ডল বলেন, ঢাকায় শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার খুলে দিয়ে সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত ঢাকা-বগুড়া রুটে সরাসরি যেসব কোচ চলাচল করে তাদের আর চলতে দেওয়া হবে না।
“মঙ্গলবার রাতের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বুধবার থেকে তাদের আর চলতে দেওয়া হবে না। এ ঘোষণা মতে আজ সকাল থেকে বগুড়ার উপর দিয়ে কোনো বাস চালানো হচ্ছে না।”
শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, “মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালী ও গাবতলীতে আমাদের দুটি কাউন্টার বন্ধ করে ঢাকা মোটর শ্রমিক ও মালিক সমিতি। এ কারণে এ কর্মসূচিতে আছি।”
আমিনুল ইসলাম মণ্ডল বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে।
বেলা ১টার দিকে সরেজমিনে ঠনঠনিয়া টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বাসের কাউন্টার গুলো বন্ধ। বিভিন্ন রুটের বাসগুলো টার্মিনালের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। একই অবস্থা শহরের সাতমাথা জিরো পয়েন্টের কাউন্টারগুলোতে।
দু-একজন যাত্রী যারা এসেছেন তারা বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
বগুড়ার ধুনটের আবু তালহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ঢাকা যাওয়ার জরুরি ছিল, কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা যাওয়ার জন্য ভেঙে, ভেঙে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ঠনঠনিয়া টার্মিনাল থেকে কোনো বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান শিবগঞ্জের হারেজ ও গাবতলীর আব্দুস সামাদ।
হারেজ বলেন, “একটু ঝামেলা হলেও বাস বন্ধ রাখা কি সমাধান? আমরা কত কষ্টে আছি।”
দুই পক্ষকে সমাধানে যাওয়ার অনুরোধ করেন ঢাকার বাসিন্দা কামাল।