নাগরিকত্ব পাচ্ছেন লুসি হল্ট

ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ব‌রিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2018, 05:25 PM
Updated : 13 Feb 2018, 06:10 AM

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সোমবার এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, “লুসি হল্টকে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় খুব শিগগিরই তিনি কাগজপত্র হাতে পাবেন।”

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ১৫ বছরের ভিসা ফি মুক্ত পাসপোর্ট পান লুসি হল্ট।

সে সময় তাকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

আশ্বাসের চার দিনের মাথায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত এল।

লুসি ৫৭ বছর আগে অক্সফোর্ড মিশনের কর্মী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। সেবার হাত বাড়িয়ে দেন সব মানুষের প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের সেবা করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি বাংলাদেশে থেকে যান। ভালোবাসেন এ দেশের মানুষকে।

লুসি বলেন, “মৃত্যুর পরও যেন আমাকে বরিশালের মাটিতে সমাধিস্থ করা হয়।”

এই লুসি প্রতিবছর ভিসা নবায়ন ফি দিতে সমস্যায় পড়ছিলেন। ফি মওকুফসহ বাংলাদেশি নাগরিকত্বের জন্য দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তার সেই আবেদন জেলা প্রশাসন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

পরে হাবিবুর রহমান জেলা প্রশাসক হয়ে নতুন করে আবেদন পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর কয়েক সপ্তাহর মধ্যেই ফি মওকুফ করে ১৫ বছরের অগ্রিম ভিসা দেওয়া হয় তাকে।

লুসি বলেন, ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে তার জন্ম। তার বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। ১৯৪৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা লুসির বড় বোন রুট অ্যান রেভা ফেলটন স্বামী ও তিন ছেলে নিয়ে বর্তমানে ব্রিটেনেই বসবাস করেন।

লুসি ১৯৬০ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে। কর্মজীবন থেকে ২০০৪ সালে অবসরে যাওয়া লুসি এখনও দুস্থ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শিশুদের জন্য তহবিলও সংগ্রহ করছেন।