রোববার শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আনসার আলীর বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলার মনকান্দা গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া অপারাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আনসার আলীর বাবা মজিবর রহমান, মা হুসনে আরা বেগম ও চাচা রহমতউল্লাহকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, যৌতুকের দাবিতে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্ত্রী জাহানারা বেগম চায়নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আনসার। পরে ঘরের মধ্যে লাশ রেখে আনসার তার বাবা, মা ও চাচা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চায়নার বাবা আব্দুল খালেক চারজনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ চারজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।