সামাজিক বনায়ন: মানিকগঞ্জে গাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধ

মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়ক সম্প্রসারণ করার জন্য কেটে ফেলা প্রায় চার হাজার গাছের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদের সঙ্গে সুবিধাভোগীদের বিরোধ দেখা দিয়েছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2018, 02:36 PM
Updated : 27 Jan 2018, 02:36 PM

সুবিধাভোগীদের দাবি, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় লাগানো এসব গাছের ৬০ শতাংশের মালিক তারা। কিন্তু জেলা পরিষদ তাদের না জানিয়ে একতরফাভাবে এসব গাছ বেছে ফেলেছে।

বেসরকারি সংস্থা প্রশিকার তত্ত্বাবধানে সমিতির মাধ্যমে রাস্তার পাশে এসব গাছ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

সমিতির সদস্য আউটপাড়ার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, প্রায় ২৭ বছর ধরে তারা গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। ১৯৯১ সালের চুক্তি অনুযায়ী তারা ৬০ শতাংশের মালিক।

“সমিতির কোনো সদস্যকে গাছ কাটার বিষয়ে জানানো হয়নি। কোনো টাকাও দেওয়া হয়নি।”

ওই এলাকার মোমেনা বেগমসহ আরও অনেকে একই অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আউটপাড়া, বেতিলা, পালড়া, গাড়াদিয়া, ঘোনা এলাকায় শ্রমিকরা করাত ও কুড়াল দিয়ে রাস্তার দুপাশের গাছ কাটছেন।

কাটার পর গাছগুলো রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে। আউটপাড়া এলাকায় কাটা গাছগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

প্রশিকার সিঙ্গাইর উপজেলার ব্যবস্থাপক মহিদুর রহমান বলেন, ১৯৯১ সালে সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে এসব গাছ লাগানো হয় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে।

“মোট ১০টি সমিতির দুই শতাধিক সদস্য উপজেলার জয়মন্টপ থেকে ডেফলতলি পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার গাছ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন। গাছের মধ্যে রয়েছে মেহগনি, কড়ই, শিশু, ইউক্লিপ্টাস, এপিলএপিল প্রভৃতি।”

পাওনা না পাওয়ায় সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন বলেন, এসব জমির মালিক স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেই হিসেবে জেলা পরিষদ দরপত্র আহ্বান করে গাছগুলো বেচেছে।

“প্রশিকা ও সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের যে চুক্তি হয়েছিল সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে সমিতির সদস্যরা ও প্রশিকা গাছ বিক্রির টাকার ভাগ পাবে কিনা।”

মোট ৩৭২৫টি গাছ ২৮টি প্যাকেজে ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ টাকায় বেচা হয়েছে বলে জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।