রোববার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে মেহেরপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান।
মামলার অন্য আসামিরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহরের বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন, দেবাশিস কুমার বাগচি ও ইলিয়াস হোসেন।
মামলার বাদীর অভিযোগ, রোববার সকালে মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন দোদুলের ছোটভাই মৃদুলের নেতৃত্বে আসামিরা তার কার্যালয়ে ঢুকে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের দরপত্রের দরমূল্য জানতে চান এবং খাবার সরবরাহ ও কাপড় ধোয়ার কাজ পাইয়ে দিতে চাপ দেন।
“তাতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথম আসামিরা কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং হাসপাতালের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের খাবার সরবরাহ ও কাপড় ধোয়ার কাজের দরপত্রের গোপন কাগজসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
ওসি রবিউল বলেন, দুপুরে অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করবে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পাওয়া যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ এবং স্বাচিপ।
এছাড়া মেহেরপুরের চিকিৎসকরা আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কালো ব্যাচ ধারণ এবং ১২ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএমএর সভাপতি রমেশ চন্দ্র নাথ।