ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা ব্রিজ এলাকা থেকে আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরিফ ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে তিনি জানান।
গোপন ক্যামেরায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ করার পর ফাঁদে ফেলে কলেজছাত্রী ও গৃহবধূসহ ছয় নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবকের আইডি থেকে প্রথমে ছয় নারীর সঙ্গে আরিফের আপত্তিকর ছবি ছড়ানো হয়। এরপর ওই দিন রাত ৮ট ৪০ মিনিটে এবং রাত ৮টা ৪২ মিনিটে রাজিব মাদবরের আইডি থেকে আরও দুইটি ভিডিও আপলোড করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক নারী বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর আরিফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে জেলা ছাত্রলীগ ১১ নভেম্বর আরিফকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে।
মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার এক নারী বলেন, “অবশেষে লম্পট আরিফ হোসেন হাওলাদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় আমরা ভুক্তভোগীরা স্বস্তি পেয়েছি। আমরা তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. মোহসীন মাদবর বলেন, “আরিফকে অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। আমরা তার অপরাধের শাস্তি চাই।”