ছাত্রলীগের সেই নেতা ‘বাড়িছাড়া’, বিচার চায় এলাকাবাসী

ফাঁদে ফেলে একাধিক নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ছড়ানোর মামলার আসামি শরীয়তপুরের বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2017, 12:36 PM
Updated : 12 Nov 2017, 12:48 PM

ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের লোকজন, সহপাঠীসহ সর্বস্তরের মানুষ আরিফ হোসেনের বিচার দাবি করছে।

বহিষ্কৃত হওয়া নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোপনে নারীদের বিশেষ কোনো মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন এবং পরে তা দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন।    

এভাবে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী, গৃহবধূসহ একাধিক নারী লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি প্রকাশ করেননি। কিন্তু ধর্ষণের দৃশ্যের ভিডিও এলাকায় বিভিন্ন জনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রকাশিত হয়।

এরপর ধর্ষণের শিকার এক নারী বাদী হয়ে গত শনিবার আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভেদরগঞ্জ ধানায় মামলা করেছেন।

নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া, সাহিদা বেগম, রতন মিয়া, চান শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তাদের ক্ষোভের কথা বলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরিফের কয়েকজন সহপাঠী বলেন, এরকম যদি ঘটনা হয় তাহলে মেয়েরা কীভাবে সমাজে বসবাস করবে। কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা একসঙ্গে পড়াশুনা করবে।

তারা আরিফকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

নারায়ণপুর ইউনিয়য়ন পরিষদের সদস্য কামাল রাঢ়ী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এসব অপকর্মের নিন্দা জানাই এবং অভিযুক্ত আরিফের  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

ভেদরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার বলেন, সরকার চাইছে বাংলাদেশের প্রতিটি নারীকে অগ্রসর করতে। কিন্তু এ রকম ঘটনায় নারীদের অগ্রসর হওয়ার পথ আরও রুদ্ধ হবে।

“আরিফকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা উচিত।”

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, গত শনিবার আরিফ সরদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক নারী মামলা দায়ের করেছেন। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

“বাড়ি গিয়ে আরিফকে পাওয়া যায়নি। তাকে আটক করতে আমাদের পক্ষ থেকে জোর প্রচেষ্টা চলছে।”

ডাক্তারি পরীক্ষাকারী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।