রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যার ৩ বছর, বিচার শেষ করার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2017, 03:27 PM
Updated : 16 Nov 2017, 03:29 PM

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন তাদের হত্যা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি।

“খুনিরা বুঝে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদে হত্যা করা যায়। আর কতদিন এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের বিচার চাইতে হবে।”

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরকার সুজিত কুমার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি জুলফিকার আলী ইসলাম, আইনের অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, সমাজকর্মের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন প্রমুখ।

বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার শেষ করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানান।

২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন।

পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক।

ওই সময় তিনি বলেছিলেন, অভিযোগপত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে শফিউল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের পর ফেসবুকে দেওয়া দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশের স্ট্যাটাসের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেও তখন পুলিশ জানিয়েছিল।

অভিযোগপত্রে রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আব্দুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমাকে আসামি করা হয়। তারা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন।

হত্যকাণ্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নাসরিন আখতার রেশমা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারকাজ চলছে। আসামিরা প্রত্যেকেই হাই কোর্ট থেকে জামিনে আছেন।”