জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফিরোজ মামুন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আবুল বাশার, কোম্পানির এএমডি মোহম্মদ ওমর ফারুক, সিইও অমল কান্তি, সিএফও মামুন খান, ডিএমডি মোহম্মদ মিজানুর রহমান এবং আরসি মোহম্মদ হাবিবুর রহমান।
৩৮ জন গ্রাহকের পক্ষে গত ১০ জুলাই মামলাটি দায়ের করেছেন বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির মাগুরা শাখার গ্রাহক স্বপন পান্ডে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্বপন পান্ডেসহ ৩৮ জন গ্রাহক ১০ বছর মেয়াদী জীবনবীমা পলিসি গ্রহণ করেন। ২০০৫ সালের ৭ জুন থেকে তারা নিয়মিত পলিসির অর্থ যথাযথভাবে জমা করতে থাকেন, যার মোট পরিমান ৮ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা।
অভিযোগে বলা হয়, দশ বছর মেয়াদ অতিবাহিত হলে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিদের স্বাক্ষরিত রশিদ পান তারা। সে সময় গ্রাহকদের জানানো হয় আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা এবং মুনাফার টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
কিন্তু গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে ঘোরাতে থাকলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান বাদী।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ জুলাই আসামিরা মাগুরা চৌরঙ্গী মোড়ে এরিয়া অফিস পরিদর্শন করতে এলে খবর পেয়ে বাদীসহ অন্য গ্রাহকরা ওই অফিসে গিয়ে তাদের জমাসহ মুনাফার টাকা দাবি করেন। ওই সময় তাদের সঙ্গে আসামিরা দুর্ব্যবহার করেন এবং তাদের তাড়িয়ে দেন।
বাদীর আইনজীবী হাসান সিরাজ বলেন, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা হলে আদালত মামলা গ্রহণ করে সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে মামলাটি তদন্তে পাঠান।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে বলে তিনি জানান।